সম্প্রতি যশোরে তুচ্ছ ঘটনায় এক রিকশাচালককে জুতাপেটাকারী আইনজীবী আরতি রাণী ঘোষকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার জবাব দিতে সাত দিনের সময় দেয়া হয়েছে। আজ রবিবার ১৪ মে দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকারী পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে সভায় কার্যকারী পরিষদের ১৩ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মর্তুজা ছোট বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় আইনজীবী কর্তৃক একজন রিকশাচালককে জুতাপেটার বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছিল। সমাজের অগ্রসর শ্রেণির মানুষ হিসেবে পরিচিত একজন আইনজীবী কর্তৃক এমন আচরণে পুরো আইনজীবী সমাজ লজ্জিত হয়। যে কারণে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অভিযুক্ত আরতি রাণী ঘোষকে গত ৮ মে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশ পাওয়ার দুইদিন পর ১১ মে আরতি রাণী ঘোষ জবাব দাখিল করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই জবাব নিয়ে রোববার দুপুরে আইনজীবী সমিতির কার্যকারী পরিষদ বৈঠকে বসে। আরতি রাণীর জবাব বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি। যে কারণে সর্ব সিদ্ধান্ত মতে আরতি রাণী ঘোষকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাশাপাশি তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার জবাব দিতে সাত দিনের সময় দেয়া হয়েছে। ওই জবাব পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ৭ মে দুপুরে আদালত থেকে বের হয়ে নিজ চেম্বারে যাচ্ছিলেন অ্যাডভোকেট আরতি রাণী ঘোষ। এ সময় একটি রিকশার সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। তিনি পড়ে গেলে রিকশাচালক নেমে তাকে উঠিয়ে দেন। এ সময় ওই আইনজীবী তাকে জুতাপেটা ও চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। পথচারীরা ওই আইনজীবীকে নিবৃত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
অবশ্য ওই আইনজীবীর দাবি তিনি সঠিক কাজটি করেছেন। যার ভিডিও পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এদিকে নির্যাতিত রিকশাচালকের নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুর সিজালি গ্রামের বাসিন্দা।